অবাধ্যতার ইতিহাস
যেভাবে আর যে কারণে ধ্বংস হয়েছে পূর্বের অনেক সভ্যতা, যেভাবে মানুষকে বরণ করতে হয়েছিলো আল্লাহর অনিবার্য আযাব—তার আদ্যোপান্ত জানতেই ‘অবাধ্যতার ইতিহাস’ বইটি। মোটকথা, কীভাবে আমরা ইউরোপীয় চিন্তাগুলোকে গ্রহণ করে আমাদের দ্বীন ছেড়ে দিয়েছি। তার ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে এই বইতে।
লেখক : ডা. শামসুল আরেফীন
প্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন
বিষয় : ইসলামি ইতিহাস ও ঐতিহ্য
আত-তিবইয়ান (কুরআনের ধারক বাহকদের আদব)
আমার শত্রু আমি
বিড়ালকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, তোমার শত্রু কে? সে বলবে কুকুর। কুকুরকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, তোমার শত্রু কে? সে বলবে শিয়াল। হরিণকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, তোমার শত্রু কে? সে বলবে বাঘ। বাঘকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, তোমার শত্রু কে? সে বলবে সিংহ। ঠিক তেমনি, যখন কোনো মানুষকে জিজ্ঞেস করা হয়, তোমার শত্রু কে? সে বলবে—আমার শত্রু অমুক, আমার শত্রু তমুক। আর এভাবেই, সবাই একে-অন্যের নাম উল্লেখ করেই তার শত্রুর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। আজ পর্যন্ত অনেকের কাছেই তাদের শত্রুর কথা জানতে চাইলে— কেউ বলে অমুক, কেউ বলে তমুক। শুধু তাই নয়; কেউ কেউ তো নিজ সহোদর ভাইকেও শত্রু হিসেবে আখ্যায়িত করে। কিন্তু, আমাকে যখন কেউ জিজ্ঞেস করে, তোমার শত্রু কে? তখন আমি অকপটে, এক বাক্যে বলি—’আমার শত্রু আমি’। আমি আমার শত্রু, তবে কেন অন্যের শত্রুতাকে এত ভয় করি? আমি বোকা, আমি বোকা, আমি বোকা….
লেখক : মাহমুদ বিন নূর
প্রকাশনী : রাইয়ান প্রকাশন
বিষয় : আত্মশুদ্ধি ও অনুপ্রেরণা
আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ
একজন মুমিনের সর্বপ্রথম কাজ হলো, সে তাঁর মহান রবকে চিনবে, রবের পরিচিতি লাভ করবে, রবের কাছে প্রিয় হবে। একজন মুমিনের সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তু হলো, রবের প্রতি ঈমান আনা, রবের সকল বিধিবিধানের প্রতি ঈমান আনা এবং ঈমান মজবুত করা। আর তার রব এ ঈমানকে শক্তিশালী করার কিছু মাধ্যমও নির্ধারণ করে দিয়েছেন। যেসব মাধ্যমে ঈমান শক্তিশালী হয় তার অন্যতম হলো, কুরআন-সুন্নাহয় বর্ণিত আল্লাহর সুন্দর নামসমূহের পরিচয় লাভ করা এবং এসব নামের অর্থ বুঝতে আগ্রহী হওয়া এবং এর মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদত করা। কুরআন-সুন্নাহ দ্বারা বুঝা যায় যে ওই নামসমূহ মুখস্থ করবে, নামসমূহের অর্থ ও মর্ম বুঝবে, এসব নাম দিয়ে আল্লাহর প্রসংশা করবে, এগুলোর মাধ্যেমে আল্লাহর কাছে চাইবে এবং এগুলোর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করবে-সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
ইতিহাসের আয়নায় বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা
ইলম চয়নিকা
ইসলামি অর্থব্যবস্থার ইতিহাস
লেখক : আহমেদ আল আশকার, রডনি ইউলসন
প্রকাশনী : সন্দীপন প্রকাশন
বিষয় : ইসলামি অর্থনীতি ও ব্যবসা বাণিজ্য
পৃষ্ঠা : 504, কভার : হার্ড কভার, সংস্করণ : 1st Published, 2023
ইসলাম। হ্যাঁ, ইসলামের সুবিন্যস্ত অর্থব্যবস্থা মুসলিম জাতিকে দিয়েছিল সচ্ছলতার নিয়ামত। কিন্তু আল্লাহর দেওয়া সেই নিয়ামতকে ছুড়ে ফেলার কারণে, আজ দারিদ্র বিমোচন নিয়ে আমাদের বেগ পোহাতে হচ্ছে। চারিদিকে সভা-সেমিনার-সিম্পোজিয়াম তো কতই হচ্ছে। কিন্তু দারিদ্র্য নির্মূল হচ্ছে না। আসলে মূল কেটে আগায় যতই পানি ঢালা হোক না কেন, সমাধান আসবে না। ইসলাম আমাদের মূল, আমাদের ফিতরাত। আমরা যখন ইসলামের কাছে ফিরে যাব, জমিন তার বরকত উগলে দেবে; আসমান থেকে কল্যাণের বারিধারা বর্ষিত হবে; দারিদ্রমুক্ত সমাজ বাস্তবতায় রূপ নেবে।
আজকে আমরা এডাম স্মিথের কাছে যা খুঁজতে যাচ্ছি, তার চেয়েও উত্তম প্রস্তাবনা দিয়ে রেখেছেন ইমাম আবু ইউসুফ। হিসাববিজ্ঞান অনুযায়ী আমরা যে শ্রেণীবিন্যাস করছি, ইমাম আদ-দিমাশকি সেটা দেখিয়ে গিয়েছেন কয়েক শ বছর আগেই। শত শত বছর পূর্বেই ভোক্তার নীতিমালা ঠিক করে দিয়েছিলেন ইমাম মুহাম্মাদ ও ইমাম গাযালি।
এ বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা পেতে চাইলে আজই সংগ্রহ করুন “ইসলামি অর্থব্যবস্থার ইতিহাস” বইটি। গ্রন্থটি লিখেছেন স্বনামধন্য দুজন অর্থনীতিবিদ। প্রকাশিত হয়েছে বিশ্ববিখ্যাত পাবলিকেশন ব্রিল থেকে। বিশ্বমানের একাডেমিক কাজ করার জন্যে ব্রিলের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। এই কাজটি তাদের সে খ্যাতিরই অংশ। বইটি প্রতিটি জ্ঞানী লোককে দিবে চিন্তার খোরাক, আর মুমিনকে দেবে আত্মিক প্রশান্তি।
ইসলামি শিক্ষাব্যবস্থার ইতিহাস
লেখক : ড. আহমাদ শালাবী, মাওলানা কাজি আতহার মুবারকপুরী
প্রকাশনী : সন্দীপন প্রকাশন
বিষয় : ইসলামি ইতিহাস ও ঐতিহ্য
পৃষ্ঠা : 408, কভার : হার্ড কভার, সংস্করণ : 1st Published, 2023
ইসলাম তার নিজস্ব শিক্ষাব্যবস্থা দিয়েই গড়ে তুলেছিল সোনার মানুষদের। যারা সাহাবিদের মতো দ্বীনি ইলমও শিখতেন, পাশাপাশি দুনিয়া চালানোর মতো সমকালীন জ্ঞানও রপ্ত করতেন। একদিকে আবিষ্কার করতেন পৃথিবীর সব বিস্ময়কর জিনিস, অন্যদিকে বাতিলের মোকাবিলায় দাঁড়িয়ে যেতেন মুজাদ্দিদে আলফে সানী হয়ে।
ইসলামি শিক্ষাধারার সেইসব চমকপ্রদ ইতিহাস ফুটে উঠেছে শিক্ষাবিদ ড. আহমাদ শালাবীর কলমে। এটা ছিল তার অক্সফোর্ডের পিএইচডি থিসিস। লেখক অনেক কষ্ট স্বীকার করে পুরানো দলিল-দস্তাবেজ, দুর্লভ পাণ্ডুলিপি ও প্রাচীন লাইব্রেরি চষে বেড়িয়েছেন। দীর্ঘদিনের অর্জিত জ্ঞানকে তিনি লিপিবদ্ধ করেছেন বইয়ের পাতায়। শিক্ষাবিদ ড. আর্থার আরবেরি বইটির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। আরবের প্রাজ্ঞ আলিমগণ বইটিকে রেফার করে থাকেন। ইন-শা-আল্লাহ, বইটি আমাদের সামনে ইসলামি শিক্ষাব্যবস্থার এক অজানা দিগন্ত উন্মোচন করবে।